loader image

আইটি ইন্ডাস্ট্রি ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং আমরা

মানসিক স্বাস্থ্যর যত্ন অত্যাবশকীয় একটি বিষয়।আমাদের প্রত্যেককেই কোনো না কোনো সময়ে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয় তা সে কর্মজীবনে হোক বা ব্যাক্তিগত জীবনে। অনেক সময় চ্যালেন্জের সম্মুখীন হতে গিয়ে আমাদের মানসিক অবসাদ, বিষন্নতার শিকার হতে হয়। আমরা যখন দেখি আমাদের স্বাভাবিক কাজগুলো ব্যাহত হচ্ছে তখনি মানসিক অসুস্থতার প্রশ্নটি সামনে আসে। যখন আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হব তখন এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ করা সহজ হবে, দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসা সম্ভব হবে। আমরা শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে যতটা সচেতনতা দেখাই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ততটা সচেতনতা দেখাইনা।

ই-ট্র্যাকার সলিউশন মনে করে শারীরিক স্বাস্থ্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে ই-ট্র্যাকার সলিউশন সর্বদা সচেতন ও আন্তরিকতা প্রকাশ করে। মানসিক সমস্যা নানা প্রকার হয়। যেমন- অবসাদ, বিষন্নতা, মানসিক উদ্বিগ্নতা, স্কিৎজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার সমস্যা। ২০১৮ সালের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের এক হিসাব বলছে, বাংলাদেশে ১৮.৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রায় ১৩ শতাংশ শিশু কিশোরদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে ৯২ শতাংশ মানুষই কোনো ধরনের সেবা বা পরামর্শ নেননা।

মানসিক অসুস্থতার চরম পর্যায় হলো আত্মহত্যা। আত্মহত্যা প্রতিরোধ সচেতনতায় গত ১০ সেপ্টেম্বর “বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস” সারা বিশ্বের মতো আমাদের দেশেও বিভিন্ন আয়েজনের মধ্যে দিয়ে পালন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ” আত্মহত্যা প্রতিরোধ ” কর্মসূচি হিসেবে “বি দ্যা লাইট” নামে সচেতনতামূলক একটি প্রচারণার আয়োজন করেছে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপনী সংস্থা ” কমিউনিকেটরস“। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টায় ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড সোশ্যাল ক্লাবের সহযোগিতায় ক্যাম্পেইনটি আয়োজন করে কমিউনিকেটরস। কমিউনিকেটরস বলে, মানসিক সমস্যায় ভোগা কোনো লজ্জার বিষয় নয়, শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতার মতো বিভিন্ন মানসিক অসুস্থতাও তৈরি হতে পারে। এটি লুকিয়ে রাখার কোনো বিষয় নয়, বরং লুকিয়ে রাখলেই বিপদ!

কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের ফলসরুপ ই-ট্র্যাকার সলিউশন টিম পোগ্রামটিতে অংশগ্রহণ করে। ই-ট্র্যাকার সলিউশন বিশ্বাস করে, কর্মীর মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সে:-

১. দৈনন্দিন কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
২. বিভিন্ন ধরনের চ্যালেন্জের সম্মুখীন হতে পারে।
৩. কর্ম উদ্দীপনা বারে।
৪. বিভিন্ন বিষয়ে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।৪. পরিবার ও সমাজের সঙ্গে সঙ্গতি বিধান করে চলতে পারে। স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু অভিযোজনে সক্ষম হয়।
৫. আরও উৎপাদনশীল হয়ে উঠে।

লেখক
মোঃ শাহিনুর ইসলাম
সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট
ই-ট্র্যাকার সলিউশন

 

 

Share it with your FRIENDS!!!

2 thoughts on “আইটি ইন্ডাস্ট্রি ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং আমরা”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *